থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ

থ্যালাসেমিয়া খুব পরিচিত অসুখ। আমাদের দেশে প্রায়ই এই রোগে আক্রান্ত মানুষ দেখা যায়। পরিবারে কারো এই সমস্যা হলে সেই পরিবারে অন্যদের কষ্টের শেষ থাকে না।
তবে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য দরকার সচেতনতা। অনেকেই এই বিষয়ে কাজ করছেন। আশা করা যায়, একদিন এই সমস্যার সমাধান হবে।
আবারও বলি, থ্যালাসেমিয়া একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। যদি স্বামী-স্ত্রী দুইজনই থ্যালাসেমিয়া বাহক বা একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক এবং একজনের থ্যালাসেমিয়া থাকে,তবে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্বামী-স্ত্রী দুইজনের যেকোনো একজন যদি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন, তাহলে নবজাতকের থ্যালাসেমিয়া হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে নবজাতক কিন্তু থ্যালাসেমিয়ার বাহক হতে পারে যা কোনো রোগ নয়। বাহকের সাথে বাহকের বিয়ে বা বাহকের সাথে আক্রান্ত মানুষের বিয়ে বন্ধ হলেই থ্যালাসেমিয়া রোগের প্রকোপ কমে যাবে।
যেসব পরিবারে স্বামী ও স্ত্রী দুজনই এ রোগের বাহক অথবা যাদের এক বা একাধিক থ্যালাসেমিয়ার শিশু আছে তারা গর্ভের ভ্রূণ পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভাব্য আক্রান্ত শিশু নির্ণয় করতে পারবেন।
এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। গর্ভস্থ সন্তানের থ্যালাসেমিয়া জানার জন্য যে পরীক্ষাগুলো করা হয় তার মধ্যে আছে—কোরিওনিক ভিলাস স্যাম্পলিং, অ্যামনিওসেনটিসিস এবং ফিটাল ব্লাড স্যাম্পলিং।
এই পরীক্ষা আমাদের দেশেই সম্ভব যদিও সব জায়গায় এই সুবিধা নেই।
থ্যালাসেমিয়া রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পদ্ধতি বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন অথবা নিয়মিত পরিশুদ্ধ রক্ত পরিসঞ্চালন, যার কোনোটাই আমাদের দেশে এখনো সহজলভ্য নয়।
তাই প্রতিরোধেই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকেই সচেতন হতে হবে। এজন্য বিয়ের আগে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করা উচিত।
করোনার চিকিৎসা
বিশেষ প্রণোদনা পাচ্ছেন ১৪৭৪ চিকিৎসকসহ ২৮৬১ স্বাস্থ্যকর্মী
মেডিভয়েসকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে পরিচালক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শতাধিক করোনা বেড ফাঁকা
