নিজের জন্য বাঁচি

খুব কাজল পরতে ভালোবাসতাম, চোখের জলসীমায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো।
তুমি বলতে, বেশ লাগে!
সইল না।
ডাক্তার বললেন, কাজলে আর কাজ নেই; এলার্জি বড় মারাত্মক!
গলার পাদদেশে সূক্ষ্ম সোনার সূতো, ছোট্ট লকেটে ছিল প্রগাঢ় বন্ধুতা।
দু’জন মিলে মানবীর সুখের হিসেবগুলো রাখত, দুঃখেরও।
তারাও আজ নির্বাসনে।
রিনিঝিনি ঝংকার খুব ভালো লাগত।
টুংটাং ধ্বনি একটু ছুঁয়ে দিলে,
না দিলেও।
হাত ভর্তি চুড়িতে অরুচি আজকাল। যখন শুনেছি, সবই শৃঙ্খলের বিবর্তন।
যে পথে যেতাম, কিছুটা নূপুর নিক্বণ এখনো লেগে আছে হয়তো।
আলতো পায়ে সুরের বিহ্বল বিচরণ।
সে এক অদ্ভূত ধ্বনি, মনকে করে বিবশ।
তবুও সে তো বেড়িই ছিল নারীর।
শৈল্পিক সৌন্দর্যের গায়ে নিপীড়ন, খুব গোপনে খোদাই করা। যুগে যুগে তুমি সয়েছ অনেক।
বিবর্তনবাদ তোমার বেড়িকে করেছে মনোরম নেকলেস।
হীরে বসেছে তাতে, পান্না চুনিও।
কী দিয়ে আজ সাজি বলতো?
সবটাতেই ইতিহাস দেয় হানা।
চুপিচুপি বলে, সব মিথ্যে আয়োজন মেয়ে, সবটাতেই তোমার ঠকার গল্প আছে লেখা। যেমন আছো তেমনি থাকো, কাজ কী নকলে?
যে থাকার সে থাকবে, যে ভালোবাসার সে বাসবে।
হারিয়ে ফেলার ভয়ে নিজেকে করো না পন্য,
বরং হারিয়ে যেতে দাও, কান্না লুকাও।
হাহাকার দেরাজে রাখো, নিজের জন্য বাঁচি চলো।