স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান দুর্নীতি দমনে দুদকের সুপারিশ প্রসঙ্গে

যে নীতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সে নীতি সুনীতি বা ভাল নীতি নয়- এ নীতিতে অবস্থান করে চিকিৎসক, প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র, লোকবল, অবকাঠামো ও পরিবেশের অভাবে চিকিৎসা দিতে পারছে না।
অপরদিকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা ও অসম্পূর্ণ চিকিৎসার মাধ্যমে বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কখনও কখনও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সর্বস্বান্ত বা নিঃস্ব হচ্ছে। রাষ্ট্রের বিদ্যমান স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি সবচেয়ে বড় দুর্নীতি এ নীতির অবসানকল্পে দুদকের সেখানে আঘাত করা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যখাত তৃণমূল থেকে সচিবালয় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে অবস্থিত ও বিস্তৃত। এ খাতে সকল স্তরে দুর্নীতি প্রশ্রয়ী ও লালিত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সামগ্রিক দুর্নীতিকে পাশ কাটিয়ে খণ্ড খণ্ড চিত্র উল্লেখ করে বিভ্রান্তি তৈরি করা ছাড়া আর কোন ফল লাভ হবে না। যাদের নিয়ন্ত্রণ ও সমর্থনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতির মহোৎসব, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সকল দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে।
দুর্নীতির পাওয়ার হাউজেকে বা কারা থাকে তা রাষ্ট্র ও দুদক উভয়ই জানে। দুদকের ভিন্নভাবে মত প্রকাশ করার কিছু নাই। রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রাসঙ্গিকতায় বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির ঘটনা উল্লেখ করে কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থানরত গড ফাদারদের পাশ কাটানো এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র নিবদ্ধ হবে। অবশেষে দুর্নীতি অপরিবর্তিতই থেকে যাবে।
